শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন

ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান জহিরের খুটির জোর কোথায়?

ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান জহিরের খুটির জোর কোথায়?

 

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর নার্সিং কলেজর নেতা জহিরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান ডি ডাব্লিউ এফ নার্সিং কলেজ ও আইসিএবি নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র বিক্ষোভের নেপথ্যে কাহিনী পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদের রক্তচুষে খাওয়া জহিরের বিরুদ্ধে এবার প্রকাশ্য প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। সেনা হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আপাতত ঠান্ডা হলেও যে কোন সময় আবারও বিক্ষোভ নামবে ছাত্র ও শিক্ষকরা। কারন সাময়িক ভাবে ছাত্রদের দমিয়ে এখন জহির বেশ কিছু শিক্ষক কে ছাটাই ও ছাত্রদের পরীক্ষায় খারাপ করিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেবার পায়তারা চালাচ্ছেন। এমনকি কোন কারন ছাড়াই কলেজ বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

নার্সিং কলেজের মেয়েদের শ্রমিকলীগ সাজিয়ে নৌকা মার্কার প্রচারণা চালায় মেহেরুন্নেছা

জানা গেছে,ভিডাব্লিউ এফ নার্সিং কলেজে জহিরের স্বৈরতন্ত্র চলে। এখানে ভর্তি হবার পর ছাত্রদের জোড় করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য করত। তার স্ত্রী বরগুনা থেকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এজন্য নৌকার টিকেট পেতে কলেজের ছাএ ছাএীদের ব্যবহার করতেন। কারন তার কোন জনসমর্থন নেই। অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম এ নিয়ে ছাত্রদের কাছ থেকে জোর করে ১৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে।

মেয়রের সাথে জহিরের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা

 

জহিরের প্রতিষ্ঠান আইসিএবির ছাত্র ছাত্রী দের সবসময় ডিডাব্লিউএফর সার্টিফিকেট দেয়া হয় কারন আইসিএবির কোন নিবন্ধন সরকার দেয়নি।

প্রকৃতপক্ষে জহিরুল ইসলাম শুধু নার্সিং কলেজের ব্যবসাই চালান। এ ছাড়া তার আর কোন ব্যবসা নেই। এই কলেজের আয়ের উৎস হচ্ছে ছাত্রদের বেতন। সেই বেতনের টাকা দিয়ে জহির তার নিজের ছেলেমেয়েদের বিদেশে লেখাপড়া করায়। অথচ কলেজ সূত্র জানায় এর ভাউচার বিল পরিশোধ করে ভিডাব্লিউ এফ কলেজ। নিজে ২ টি বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সময় সরকারের কাছ থেকে ডিডাব্লিুফ এনজিও দেখিয়ে বিভিন্ন মোটা অংকের অনুদান পায় জহির। এ্যসেট,কেয়ারগিভার প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জহির।

 

বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান সিআরআই এর বরিশালের সমন্বয়কারী ছিল জহিরের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা।আওয়ামী সরকারের বিসিসি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত এর স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহর পরামর্শে ভোরের আলো পত্রিকা মেয়রের পছন্দসই সাংবাদিকদের নিয়ে পরিচালনা করেন।ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে জহির তার পত্রিকার পাতায় নতুন সরকারের গুনগান শুরু করেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এ ফুটে উঠেছে জহিরের কুকৃতীসমুহ। এই জহির এখন ভোল পাল্টে বিএনপির লোক সাজার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সচেতন ছাত্র সমাজ মনে করে জহিরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছ থেকে বিগত দিনে নার্সিং সেক্টরের অনেক দুর্নীতি অনিয়মের তথ্য উঠে আসবে।

 

এ বিষয়ে জানতে ডিডাব্লিউ এফ কলেজ এর চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম এর মুঠোফোন এ কল দেয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন আমরা ডিডাব্লিউএফ কলেজের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved ©2024 বিজয় নিউজ৭১।
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com