শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ন
বিগত ১০/১২ বছরে ছিলেন না কোন আন্দোলন সংগ্রাম এ। তবে নানা সময়ে সমালোচনার পাত্র হয়েছেন এমন এক বিএনপি নেতা বর্তমানে খুব সক্রিয় রাজনৈতিক মাঠে।তবে এবারেও তার উদ্দেশ্য ভালো নয় বলে মনে করছেন ত্যাগী নেতারা।বলছি বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও বিসিসির সাবেক প্যানেল মেয়র কে এম শহিদুল্লাহর কথা। বিগত আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলন এ তার সক্রিয় কোন ভুমিকা তো দুরের কথা দলীয় কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলতেই সাছন্দ বোধ করতেন তিনি। কিন্তু ৫ আগষ্ট হাসিনা জামানার অবসান হলে তিনি পুরোদস্তুর বিএনপি নেতা বনে যান।সাদিক আবদুল্লাহ পালিয়ে যাওয়ার পরে বরিশাল ক্লাব রীতিমতো দখলে নেন তিনি সহ আরও কয়েকজন নেতা।প্রতিদিন সকালে ঐ ক্লাবে দেখা মিলবে তার।কিন্তু তিনি ক্লাবের সদস্য হলেও নেই পরিচালনা কমিটিতে।কিন্তু বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সবাই আওয়ামী ঘরানার বিধায় তারা গা ঢাকা দিয়েছেন, সেই সুযোগে ক্লাব দখলে নিয়েছেন শহীদ।অভিযোগ রয়েছে বিসিসির একাধিক আওয়ামী পন্থী কাউন্সিলররা যাতে কোন মামলা কিংবা হয়রানির শিকার না হন সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় তদবির করেন তিনি।একই সাথে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করে মেডিকেল এর কাজ বাগিয়ে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র।ঐ সুত্রের দাবি, শহীদ ইতিপূর্বে কোন দলীয় কর্মকাণ্ড করত না।কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতো আমার কোন পদ নেই,যাদের পদ দেয়া হয়েছে তারা করুক।অথচ যখনই বিএনপির মাঠ খালি পেয়েছে তখনই এই বানিজ্যে নেমেছেন শহীদ।যদিও এসকল দুধের মাছিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মুল্যায়ন করবেন না এবং উপযুক্ত প্রমান পেলে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করতে পারেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কেএম শহিদুল্লাহ বলেন এ সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং এই প্রতিবেদককে তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
Leave a Reply